চট্টগ্রাম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের প্রথম দুই দিনে প্রোটিয়ারা যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে ৫১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয়, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজের বোলিংয়ে তেমন কোনো সুবিধা না পেলেও দক্ষিণ আফ্রিকানরা যেন ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেছে। বাংলাদেশের ব্যাটাররা একই উইকেটে বড় স্কোর করতে না পারায় লিডের চাপে পড়ে যায়।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট হয়। খেলায় তৃতীয় দিন শুরুতেই ৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে মুমিনুল হক ছাড়া আর কেউ তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। দিন শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক ক্রিজে থাকলেও, শান্ত কাগিসো রাবাদার বলে মাত্র ৯ রানে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
এরপর মুশফিকুর রহিম এসে মাত্র দুই বল খেলেই ড্যান প্যাটেরসনের বলে আউট হন। এদিকে মিরাজও তিন বল খেলে এক রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
রাবাদার দুর্দান্ত বোলিংয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং নতুন ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন দ্রুত সাজঘরে ফেরেন, যেখানে অঙ্কন অভিষেকেই শূন্য রানে আউট হন। রাবাদা ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান।
৮ উইকেটে ৪৮ রানে পড়ার পর মুমিনুল হক এবং তাইজুল ইসলাম নবম উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। দুজনে মিলে ১০৩ রানের জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন।
মুমিনুল ব্যক্তিগত ৮২ রানে আউট হন, আর তাইজুল করেন ৩০ রান। তবে তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ দল ফলোঅন এড়াতে ব্যর্থ হয়।
প্রথম ইনিংসে বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় ফলোঅন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। টেস্টের বাকি সময় বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে টিকে থাকার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।